মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ফেরি দুর্ঘটনার পর পাটুরিয়া-উথলী সংযোগ সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। ফেরিডুবির পাশাপাশি ঘাট ও ফেরিস্বল্পতা এবং অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ফেরিডুবির ঘটনার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটেও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে ফেরি ও ঘাটস্বল্পতা রয়েছে। প্রখর রোদ আর গরমে আটকে থাকা গাড়িচালক, সহকারী ও বাসের যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
আজ শুক্রবার সকালে পাটুরিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ৩ নম্বর ঘাট থেকে পাটুরিয়া-উথলী সংযোগ সড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের লম্বা সারি। এর মধ্যে পণ্যবাহী যানবাহনের সংখ্যাই বেশি। পণ্যবাহী গাড়িগুলোর চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেরিতে উঠতে প্রতিটি পণ্যবাহী গাড়িকে এক থেকে দুই দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ থেকে সয়াবিন তেল নিয়ে গত বুধবার রাতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন ট্রাকচালক সোলায়মান হোসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার আগে উথলী এলাকায় তাঁর গাড়ি পুলিশ আটকে দেয়। পাটুরিয়া ঘাটে যানজট ও বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেখানে আরও শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি মহাসড়কের পাশে আটকে রাখা হয়েছিল।
গতকাল বিকেলে তিনি ঘাটের প্রায় তিন কিলোমিটার আগে নবগ্রাম এলাকায় আসেন। সেখানে আবার দীর্ঘ সারিতে আটকা পড়েন। রাত ১০টার দিকে তিনি পাটুরিয়া টার্মিনালে পৌঁছান।
আজ সকালে ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘এক দিন পার হলো, ঘাট এলাকায় আটকে আছি। আজকেও নদী পার হতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।’
দীর্ঘ লাইনে আটকে থাকা গাড়িচালক ও সহকারীদের অনেককে দীর্ঘ যানজটের কারণে গাড়ির ভেতরেই ঘুমাতে দেখা গেছে। তবে পণ্যবাহী গাড়িগুলোকে দীর্ঘ সময় ঘাটে আটকে থাকতে হলেও যাত্রীবাহী বাসগুলো এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই ফেরিতে উঠে যাচ্ছিল।