টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে আজ পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। কাল সংবাদ সম্মেলনে এ ম্যাচ ঘিরে কথা বলেন অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তার চুম্বক–অংশ নিচে তুলে ধরা হলো।
পাওয়ারপ্লেতে চ্যালেঞ্জ কী রকম হবে
এ টুর্নামেন্টে মাঝের ও শেষের দিকের ওভারে কমবেশি চিত্রটা একই রকম। মূল পার্থক্য গড়েছে পাওয়ারপ্লেই। মনে হয় না টুর্নামেন্টের এ পর্যায়ে টসের তেমন ভূমিকা থাকবে। বোর্ডে রান তোলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। শাহিন আফ্রিদি ভালো ফর্মে আছে। তার সঙ্গে লড়াইটা গুরুত্বপূর্ণ হবে। তবে আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। পাকিস্তান পাওয়ারপ্লেতে যেভাবে ব্যাট-বলে পারফর্ম করছে, তাদের সাফল্যের জন্যও সেটা গুরুত্বপূর্ণ।
অস্ট্রেলিয়াই কি আন্ডারডগ
গত কয়েকটা সিরিজের পর এ সংস্করণে সবাই আমাদের হিসাব থেকে বাদ দিয়েছিল। তবে আপনি যা ইচ্ছা তা-ই ভাবতে পারেন, আমরা কিন্তু এসব নিয়ে কথা বলিনি। টুর্নামেন্টের আগে লোকে আপনাকে হিসাব থেকে বাদ দেবে, গোনায় ধরবে না। এসব কথাবার্তা কত দ্রুত বদলে যেতে পারে, সেটা কিন্তু মজার একটা ব্যাপার। ১০ দিন আগেও আমরা বুড়োদের দল ছিলাম, এখন অভিজ্ঞ হয়ে গেছি। বলার জন্যই বলা, এর বেশি কিছু না। প্রথম দিন থেকেই এ দল নিয়ে আত্মবিশ্বাস ছিল আমার। আমরা প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাইনি। বিশ্বকাপ জেতার পরিষ্কার একটা পরিকল্পনা নিয়েই এসেছি, সেটা বাস্তবায়নের পথেই আছি।
অস্ট্রেলিয়ার ছন্দে ফেরা
আমাদের দলটা সত্যিই ভালো। অভিজ্ঞতা আছে। টি-টোয়েন্টিতে একসঙ্গে বেশি না খেললেও অন্য সংস্করণে অনেক ম্যাচ খেলেছি একসঙ্গে। দলটা রোমাঞ্চকর। সমন্বয়টাও আমার পছন্দের। দিন শেষে আপনি কেমন করেন, সেটার ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে। আর এ রকম টুর্নামেন্টে ছন্দ কাজে দেয় না খুব একটা। কারণ, প্রতিদিনই নতুন প্রতিপক্ষ, ভিন্ন কন্ডিশন, আলাদা উইকেট। আপনি শুধু নিজেদের প্রক্রিয়া ও পরিকল্পনাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, সেটা আমরা ভালোই করছি। আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে পড়া নিয়ে এত কথা বলার দরকার নেই। আমরা বিদেশে অনেক খেলেছি, শিখেছি। চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে অনেক বড় কিছু হবে। তবে আপাতত সেমিফাইনালের দিকে নজর দিতে চাই, যেখানে পাকিস্তানের মতো খুবই ভালো একটা দল সামনে। চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়। বিশ্বে আমাদের অবস্থান কোথায়, সেটার পরীক্ষা নেবে তারা।
কেমন হবে একাদশ
আইপিএলের পরও কন্ডিশন বেশ ভালোই এখানকার। নতুন বলে কামিন্স, স্টার্ক ও হ্যাজলউড দুর্দান্ত করেছে। সম্ভাব্য সবকিছুই বিবেচনা করছি। শুধু প্রতিপক্ষের কথা বিবেচনা করলেই হবে না, আমরা কীভাবে ২০ ওভার বোলিং করতে চাই, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। ফলে সবার কথাই ভাবা হবে। শুধু পরিসংখ্যান দেখে একাদশ ঠিক করে লাভ নেই। নিজেদের শক্তি কীভাবে কাজে লাগাচ্ছি, সেটাই ব্যাপার। (গ্লেন) ম্যাক্সওয়েল, (মিচেল) মার্শ, (মার্কাস) স্টয়নিস মিলে ৪ ওভার করতে পারে।