আজকের চন্দ্রগ্রহণের মেয়াদ প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা। আর ‘পিনামব্রাল’ পর্যায় আমলে নিলে সব মিলিয়ে ছয় ঘণ্টার গ্রহণ দেখল বিশ্ববাসী। এত দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ হাজার বছরে একবার মেলা কঠিন।
শেষবার দীর্ঘমেয়াদে চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল ১৪৪০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর ২৬৬৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এমন গ্রহণ দেখা যাবে। অর্থাৎ ১ হাজার ২২৯ বছরের মধ্যে এই একবারই এমন চন্দ্রগ্রহণের দেখা মিলল।
সূর্যের আলো চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয় বলে আমরা চাঁদ দেখতে পাই। তবে চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ, পৃথিবী এবং সূর্য একই সরলরেখায় আসে, পৃথিবী তখন থাকে চাঁদ এবং সূর্যের মাঝামাঝি। এতে পৃথিবীর ছায়া পড়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে। সে ছায়ায় চাঁদের পুরোটা ঢাকা পড়লে বলা হয় পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, আর অংশবিশেষের ক্ষেত্রে সেটি হয় আংশিক বা খণ্ডগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য অনুযায়ী, আজ চাঁদের ৯৭ শতাংশ সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হয়। সে কারণেই একে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলা হচ্ছে। শুরুতে ক্রমে আঁধারে ঢেকে গেলেও গ্রহণের একপর্যায়ে লালচে রং ধারণ করে চাঁদ। শেষ দিকে আবার ক্রমে আঁধারে ঢেকে যেতে থাকে।
আর ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট এবং ২৪ সেকেন্ডের মূল গ্রহণ বেলা ১টা ১৯ মিনিটে শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টা ৪৭ মিনিটে। এরপর পিনামব্রালের পরবর্তী ধাপ শুরু হয়। বাংলাদেশ থেকে দেখা গ্রহণটি এ পর্যায়ের।