সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বিশ্বজুড়ে যে ৫০ হাজার অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীর ওপর নজরদারি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও রয়েছেন। এ–সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা।
বিভিন্ন আড়ি পাতার সফটওয়্যার তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান ও তাদের গ্রাহকেরা প্রায় ১০০টি দেশের অধিকারকর্মী, ভিন্ন মতাদর্শের মানুষ ও সাংবাদিকদের নজরদারিতে রেখেছে। এখন এসব প্রতিষ্ঠানসংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট ও পেজগুলো সরিয়ে নিয়েছে মেটা। এরপর ১৭ পৃষ্ঠার একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে বলা হয়েছে, যে সাতটি প্রতিষ্ঠানের আড়ি পাতার বা নজরদারির সফটওয়্যার এসব কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইসরায়েলের ব্ল্যাক কিউব, কবওয়েবস টেকনোলজিস, কগনাইট, ব্লুহোয়াক সিআই। এ ছাড়া রয়েছে ভারতের বেলট্রক্স, উত্তর মেসিডোনিয়ার সাইট্রক্স ও চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে চীনের প্রতিষ্ঠানটির নাম উল্লেখ করেনি মেটা।
মেটার প্রতিবেদনে বলা হয়, কবওয়েবসের নজরদারিতে রয়েছে বাংলাদেশ, হংকং, যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, মেক্সিকো, সৌদি আরব, পোল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, আইনসংশ্লিষ্ট বিষয়-আশায় তারা নজরদারি করত। মেক্সিকো ও হংকংয়ে সরকারের কর্মকর্তা, বিরোধী নেতা, অধিকারকর্মীদের ওপর প্রায়ই নজরদারি করা হতো।