বাংলাদেশে নতুন অন-লাইন জুয়ার আগমন- Teenpatti Ace Pro Game অনুসন্ধানে দেখা যায়, দেশের বাইরে থেকেই দেশেও পরিচালিত হয় এসব জুয়ার বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যম। জুয়াড়িদের লোভনীয় অফারে প্লে স্টোর থেকে গেমসটি ডাউনলোড করে ফেসবুকের সাথে লগইন করে নিবন্ধন করেন দেশের শত শত তরুণ তরুণী। জুয়ায় অংশ নিতে গেমসের চিপস এর মূল্য পরিশোধ করতে হয় ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। যাদের ক্রেডিট কার্ড নেই সেখানে বিকল্প ব্যবস্থা করেন- শাহজাহান আলম নামের এক জুয়ার এজেন্ট। জুয়ার সাইট বা গেমসগুলোর জন্য ‘এজেন্ট’ হয়ে কাজ করে শাহজাহান আলম ছাড়াও একদল লোক। তারাই ভিন্ন দেশ থেকে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া এবং টাকা পরিশোধের কাজ করে দেন। আর শাজাহান আলমের হাত ধরেই বাংলাদেশ থেকে ‘হার্ড ক্যাশ’ দেশের বাইরে চলে যায় হুন্ডির মাধ্যমে। আবার কেউ জুয়ায় জিতে গেলে সেই অর্থও শাজাহান আলমের হাত ধরেই জুয়াড়ির হাত পর্যন্ত পৌঁছায়। যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই ব্যাক্তির আইডির নাম দেয়া Md Shajahan Alam। আর তার মাধ্যমে পরিচালিত জুয়ার এই গেমের নাম Teenpatti Ace Pro। এ নামের গেমের নামে ফেসবুকে একটি ম্যাসেঞ্জার গ্রুপও খুলেছে শাজাহান আলম, যার নিয়ম হচ্ছে ১ কোটি চিপস এর রেট-৩৮/৪০ টাকার মাধ্যমে কিনতে হয় যা বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে লেনদেন হয় এবং কেউ খেলায় জিতে গেলে সেই চিপস বিক্রি হয় ৩২ থেকে ৩৩ টাকায়, তবে বিক্রি করা যায় না কারন কেউ জয়ী হতে পারে না।খোজ নিয়ে জানা যায় এই গেমসের টাকা পাচার হয় চায়নাতে,আর বাংলাদেশ থেকে পরিচালনা করে শাহজাহান আলম নামের এই জুয়ার এজেন্ট।শুধু তাই নয় শাহজাহান আলম এই গেমস পরিচালনার জন্য নতুন নতুন এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছে বাংলাদেশে এবং তাদের মাধ্যমে চলছে রমরমা ব্যবসা।আরো জানা যায় এই এজেন্ট শাহজাহান আলমের বাড়ি কুমিল্লাতে।সে মূলত পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এই বিজনেসটা করে যাচ্ছে, তার দুটি নাম্বার আমাদের কাছে থাকলেও কল দিলে তা রিসিভ করেনি, তাই এই বিষয়ে তার কাছ থেকে কোন কিছু জানা যায়নি। অর্থের লেনদেন সম্পর্কে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন হয়, এই বিষয়টি সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ থেকে দেখা হয়।পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন পুরো চক্রটিকে ধরার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।