সংগ্রহ ১৪৩ রান, সেখানে প্রতিপক্ষের উদ্বোধনী জুটিই তুলে ফেলল ৬২ রান। তবে শক্তিমত্তার জায়গা যখন বোলিং, তখন ফরচুন বরিশাল ওই সংগ্রহ নিয়েই বের করে আনল তাদের সেরা খেলাটা। বোলারদের ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে দারুণভাবে ব্যবহার করলেন সাকিব আল হাসান, তাঁরাও অধিনায়ককে এনে দিলেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট।
ডেথ বোলিংয়ের দুর্দান্ত প্রদর্শনীতে সাকিবের বরিশাল ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে থামিয়ে দিল ১৩৩ রানেই। এলিমিনেটরের পর প্রথম কোয়ালিফায়ারেও মিরপুর দেখল রোমাঞ্চকর লড়াই, এবারও জয়টা পরে বোলিং করা দলের। ১০ রানের জয়ে বরিশাল জিতল টানা সপ্তম ম্যাচ, বিপিএলের ফাইনালেও চলে গেল তারা।
ব্যাটিংয়ে খেই হারানো কুমিল্লার জন্য অবশ্য এটিই শেষ নয়। ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ পাবে তারা।
লক্ষ্যটা খুব বড় নয়, লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান কুমিল্লার রানতাড়ার শুরুটা করেছিলেন সতর্ক। দুজনের উদ্বোধনী জুটিতে রান এলেও খরচ হয়ে যায় ১০ ওভারের বেশি। ১১তম ওভারে বরিশালকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন মেহেদী হাসান রানা, ৩০ বলে ২০ রান করে বোল্ড হন মাহমুদুল। এরপর শফিকুল ইসলামের ৩ বলের মধ্যে লিটন ও ইমরুল কায়েস ফিরলে চাপে পড়ে কুমিল্লা। থিতু হয়েও রান তোলার গতি বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন লিটন, শফিকুলের কমিয়ে আনা গতির বলটা স্টাম্পে ডেকে এনে। ৩৫ বলে ৩৮ রান করেই ফিরেছেন। ইমরুল এরপর শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়েছেন গেইলের হাতে।