ঈদ আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গ্রামে ছুটছে শহরে থাকা মানুষ। দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) মুখরিত মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হতে শুরু করেন। পরে তারা ফেরি বা লঞ্চে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়তে শুরু করেছে।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে ফেরি সঙ্কেটের কারণে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তিও বাড়ছে সমান ভাবে। ফেরির জন্য অধিকাংশ ছোট গাড়ি সমূহকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই নৌ-পথে ফেরিতে বাস-বড় ট্রাক পার করা হচ্ছে না। তবে বর্তমানে শিমুলিয়া ঘাটে ২০০’র মতো ব্যক্তিগত গাড়ি, ছোট মালবাহী কভার্ডভ্যান নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট পরিচালক (বাণিজ্য) আশিকুজ্জামান জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে নয়টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সকাল থেকে ফেরিতে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে দুই শতাধিক ছোট গাড়ি। তবে ফেরির তুলনায় লঞ্চে ও স্পিডবোডে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন বেশি।
এই নৌপথে ১৫৩টি স্পিডবোট ও ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে। ফেরির সংখ্যা কম থাকায় লঞ্চেই বেশি সংখ্যক যাত্রী পার হচ্ছেন। স্পিডবোট চলাচল করছে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত এবং লঞ্চ চলাচল করবে রাত ১০টা পর্যন্ত।