চাহারের করা ৪৬তম ওভারের প্রথম বলটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে, কাট করে চার মারেন মিরাজ। পরের দুই বল ডট দেওয়ার পর চতুর্থ বলে স্কয়ার লেগ থেকে সিঙ্গেল। জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩ রান। চাহারের সে বলটি ছিল নো, ফলে বাড়তি ১ রানের সঙ্গে ফ্রি হিটও পায় বাংলাদেশ। তবে ফ্রি হিটের ডেলিভারিটি চাহার করেন শর্ট, মিস করেন মোস্তাফিজ। পরের বলে মিডউইকেট থেকে সিঙ্গেল, সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্প ভাঙলেও মোস্তাফিজ ক্রিজে পৌঁছে যান তার আগেই। সে সিঙ্গেলই নিশ্চিত করে, ম্যাচ হচ্ছে টাই। শেষ বলে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে মারা শটে বাংলাদেশের ১ উইকেটের নাটকীয় জয় নিশ্চিত করেন মিরাজ।
আটে নামা মিরাজের সঙ্গে যখন শেষ ব্যাটসম্যান মোস্তাফিজ যোগ দেন, বাংলাদেশের তখনো প্রয়োজন ছিল ৫১ রান। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রায় অর্ধেক দর্শক তখন মাঠ ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু যাঁরা ছিলেন, তাঁদেরকে অনেক দিন মনে রাখার মতো এক ম্যাচ উপহার দিল মিরাজ-মোস্তাফিজের শেষ উইকেট জুটি। মিরাজ করেছেন দারুণ আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং, মাঝে ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছেন। মোস্তাফিজ তাঁকে সঙ্গে দিয়েছেন দারুণভাবে। মিরাজও আস্থা রেখেছেন তাঁর ওপর।
১৮৭ রান তাড়ায় এক সময় ৪ উইকেটে ১২৮ রানের স্কোর ছিল বাংলাদেশের। সে সময় নামে নাটকীয় ধস, ৮ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। জয়ের পথে ছুটতে থাকা বাংলাদেশ হুট করেই হাজির হয় হারের দ্বারপ্রান্তে। সেখান থেকেই মিরাজ-মোস্তাফিজের জুটিতে ম্যাচ নেয় নাটকীয় মোড়।
মিরাজ অপরাজিত থাকেন ৩৯ বল ৩৮ রান করে। এবং ভুলবেন না, মোস্তাফিজ অপরাজিত ছিলেন ১১ বলে ১০ রান করে।
২০১৫ সালে ভারত যখন বাংলাদেশে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছিল, সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই সিরিজেই ভারতকে এর আগে সর্বশেষ এ সংস্করণে হারায় বাংলাদেশ। আজ সাত বছর পর এলো আরেকটি জয়। সব মিলিয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি ষষ্ঠ ওয়ানডে জয়।